১৭জনের একটি সংগঠন মাত্র ৩ জনই বিলুপ্ত করার ক্ষমতা রাখে কিভাবে..? এমন গাঁজাখুরি আইন আবদুল্লাহ কোথায় পেল..?
15, June, 2016, 4:33:5:AM
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আমি সাব্বির আহমেদ সেন্টু বন্দর থানা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের একটি অনলাইন পত্রিকায় এস এম আব্দুল্লাহ প্রেরিত এক বার্তায় বন্দর থানা প্রেসক্লাব বিলুপ্ত সংক্রান্ত একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যুগ্ম সম্পাদক সাকির আহমেদ বাপ্পী,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াবুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক সোহেল ইসলাম সাক্ষরিত বার্তায় বন্দর থানা প্রেসক্লাব বিলুপ্ত করা হয়েছে। প্রেসরিলিজটি পড়ে সবার আগে হতবাক হচ্ছি যে, ১৭জনের একটি সংগঠন মাত্র ৩ জনই বিলুপ্ত করার ক্ষমতা রাখে কিভাবে..? এমন গাঁজাখুরি আইন তারা কোথায় পেল। একটি সংগঠন সাংগঠনিক নিয়মেই হয় আবার সাংগঠনিক নিয়মেই তা ভাঙ্গতে হয়। এস এম আব্দুল্লাহর কারবার দেখে মনে হচ্ছে কবে না জানি নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করে সরকার পরিষদও ভেঙ্গে দেয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। হায়রে আব্দুল্লাহ..! গাঁজার নেশায় আবোল তাবোল বকতে শুরু করছে। তাই ভূয়া একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০০৭ সালের গড়া পবিত্র একটি সংগঠন বিলুপ্ত করে দিতে চায়। এদিকে জিয়াবুর এবং সেহেল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায় আব্দুল্লাহ আমাদেরকে অন্য কথা বলে সাক্ষর নিয়েছে। সে আমদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমি আব্দুল্লাহকে হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলে দিতে চাই,তোমাকে মানুষের কাছে ভাল হিসেবে জাহির করতে হলে আগে তোমার গাঁজা খাওয়া ছাড়তে হবে। তুমি গাঁজা সেবন করো বলেই তোমার মেয়ের জামাতা গাঁজা,ফেন্সিডিল আর ইয়াবার ব্যবসা চাঙ্গা করে তুলেছে। যে কারণে সবাই মনে করে তুমি থানাকে ম্যানেজ করো আর তোমার মেয়ের জামাতা সহসাই রমরমা বানিজ্য করে চলে। ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়েও তোমার ভরসায় তোমার জামাতা সেলিম মিয়া রাজবাড়ী এলাকায় মাদক ব্যবসার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। তুমি নিজেও কিন্তু ৩৫ পুরিয়া গাঁজাসহ ধরা পড়েছিলে দারোগা তোতার হাতে,বন্দর প্রেসক্লাবে মদ্যপান করতে গিয়েও তুমি লাঞ্চিত হয়ে বহিস্কার হয়েছিলে সেসব কাহিনী তুমি ভুলে গেলেও আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কোনদিনও ভুলবেনা। আর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তুমি ক্লাবের প্যাড ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ক্লাবের নামে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নেয়ার যে পাগলের প্রলাপ করেছো সেটার কোন ভিত্তিই নেই। কেননা এখন পর্যন্ত বন্দর থানা প্রেসক্লাবের কোন প্যাডই ছাপানো হয়নাই। আর জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে ক্লাবের নামে টাকা উত্তোলন করাতো দূরের কথা কোনদিন কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোন বিষয়ে একটি পয়সাও চেয়েছি কিনা তা প্রমাণ করতে পারলে আমি সারাজীবন তোমার গোলামী করবো। আর যদি প্রমাণ করতে না পারো তাহলে নিজের জুতা নিজে কামড় দিয়ে তওবা করো আর জীবনে কারো বিরুদ্ধে না জেনে কিছু বলবেনা। সব জিনিসের একটা শেষ আছে তুমিতো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনেক কিছুই করে বেড়াও কিন্তু বিগত ২/৩বছরে কোন পত্রিকায় তোমার নামে কোন নিউজ ছাপা হয়েছে..?। দেখাতে পারবেনা কারণ,তুমি একসময় পত্রিকার সংবাদদাতা ছিলে এখন হয়েছো থানার দালাল। তোমাকে বন্দরের কোন অনুষ্ঠানে পাওয়া না গেলেও থানার ভিতরে বাইরে তোমাকে দিব্যি পাওয়া যায়। ভবিষ্যতে অহেতুক মানুষের সম্মান নিয়ে মাথা ঘামিওনা তাতে নিজের সম্মান কিছুই থাকবেনা।