স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ফায়দা হাসিলের রাজনীতিতে আসতে পারে আমুল পরির্বতন। সাংগঠনিক দুর্বলতা, দুঃসময়ে দলের প্রয়োজনে ফটোসেশনের রাজনীতি করে দলীয় কর্মসূচিতে ইতিটানা, ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত ও ফায়দাবাজ নেতাদের এবার আখের গুছানো শেষ বেলায় উপনীত হতে চলেছে। দলের হাইকমান্ডের নেতাদের নিদের্শে হতে যাচ্ছে বর্তমান জেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের রদ-বদল। আর তাদের স্থানে জায়গা করে নিতে পারে নুতন মুখ।
কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানায়, দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরও শক্তিশালী করতে হলে প্রয়োজন দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা নেতাদের পদ পদবির পরির্বতন। আর তাদের স্থানে জায়গা করে নিতে পারে জেলার স্থানীয় কোন নতুন মুখ। তবে তাদের অবশ্যই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা অভিজ্ঞতা রয়েছে দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী। এমন সব নেতাদেরই দায়িত্ব প্রদান করা হতে পারে। নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের বিচরণ চোখে পরার মত না হলেও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে রয়েছে বিশেষ অবদান। যাদের মধ্যে রাজনৈতিক দক্ষতা, বুদ্ধিমতা, বিচার বিশ্লেষনের ক্ষমতা এবং তৃনমূল পযার্য়ের নেতাকর্মীদের সুষ্ঠ ভাবে দিক নির্দেশনা দেয়ার মত অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন ব্যক্তিদেরকেই এবার জেলা কমিটির দায়িত্ব প্রদান করা হতে পারে।
সূত্রটি আরও জানায়, বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে বিগত দিনে যাদের দলের জন্য রয়েছে বিশেষ অবদান, সরকার পতন আন্দোলনে যে সকল নেতারা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী দখল করে, যে সকল নেতারা নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা পেশা এবং ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁতের রাজনীতিতে অভ্যস্থ রয়েছে তাদের পদ পদবি ভেস্তে যেতে এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
তারা আরও বলেন, নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে যে সকল নেতারা দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে রেখেছে তাদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে দলের হাইকমান্ড থেকে। তদন্ত অনুসারে এ সকল নেতাদের বিষয় সিদ্ধান্ত নিবেন দলের চেয়ারপারসন ও শীর্ষ নেতারা। আর কর্মীবান্দব যে সকল নেতা তৃনমূলের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে কোন কাপর্ণ্য করে নি তদের ভাগ্য প্রসন্ন হতে চলছে অতি সন্নিকটেই। আর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর নতুন করে সরকার পতন আন্দোলনে কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে বলে সূত্রটি জানায়।