কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ। ছাত্রলীগ থেকে শুরু হয় তার রাজনীনৈতিক জীবন। আসন্ন হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে ময়দানে চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। আসন্ন হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। দলীয় মনোনয়নের নামে সোনার হরিণ পেতে ভোটের মাঠে চালাচ্ছেন গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা। এছাড়াও দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে গড়ে তুলছেন সখ্যতা।
অনলাইন নিউজপোর্টাল নতুনবাজার৭১.কম’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও রাজনৈতিক জীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে সন্মান অর্জন করতে এসেছি, অর্থ বিত্ত অর্জন করতে নয়। যার প্রমান ২৬ বছর ধরে রাজনীতিতে দিয়ে আসা সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেছিলাম হিমেল, কামাল, ডালিম, মনজিল সহ কিছু বন্ধুদের নিয়ে। লড়াই সংগ্রাম আন্দোলন করে ১৮টি মামলার আসামি হয়ে তিনবার জেল খেটেছিলাম। একবার বিশেষ ক্ষমতার অধীনে ডিটেনশন দেয়া হয়েছিলো আমাকে ও হিমেলকে। ছয়মাস জেল খেটে হিমেল ও ডালিম ক্ষোভে চলে যায় বিএনপিতে, কামাল চলে যায় চাকরিতে আর আমি বড্ড একা হয়ে যাই।
তিনি বলেন, সেই থেকে দলের ভালোবাসার টানে একাই লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাই। এর মাঝে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করি। দুই দুইবার বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখনো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি বলেন, বিগত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অর্থের কাছে বিক্রি হওয়া কিছু নিজ দলীয় নেতার কারণে পরাজিত হই। তার মাঝে পেয়ে যাই হাজার যুবক ভাই বোনদের ভালোবাসা ও মা বাবাদের দোয়ায় ৩০ হাজার ভোট, যা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় লিখা আছে আমার হৃদয়ের মণিকোঠায়। সেই ৩০ হাজার ভোটারের শক্তি নিয়ে আগামী হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাই। আশা রাখি মনোনয়ন বোর্ড ৩০ হাজার ভোটারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটির যথাযথ মূল্যায়ন করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ যদি সহায় হয় আগামী মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো করবোই ইনশাল্লাহ। ভোট চাই ভোটারের দোয়া চাই সকলের।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন অনুপ্রবেশকারীকে দলীয় পদ পদবি ও দলীয় মনোনয়ন দেয়া যাবেনা। আশা রাখি, আগামী মেয়র নির্বাচনে হোসেনপুরে তার যথাযথ বাস্তবায়ন হবে। দলীয় মনোনয়ন পাবে তারা আওয়ামী লীগের আতুর ঘর ছাত্রলীগে জন্ম নিয়েছে যারা। আর মেয়র নির্বাচিত হবেন তিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের ভালোবাসা কুঁড়াতে পেরেছেন যিনি।
তিনি বলেন, আশা রাখি দলীয় মনোনয়ন পাবো এবং সর্বজনের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হব।স্বচ্ছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আধুনিক ও জবাবদিহিতা মূলক মডেল পৌরসভা গড়বো। ভোট চাই ভোটারের দোয়া চাই সকলের। তিনি বলেন,আমার দৃঢ় বিশ্বাস দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবো। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে হোসেনপুর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো।