বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের একটি উচু রেইন্ট্রি গাছের মগডালে গত তিন দিন ধরে অবস্থান করছে একটি বিড়ল প্রজাতির হনুমান। ওই হনুমানটি এক গাছ থেকে আরেক গাছে ছুটাছুটি করছে। উৎসুক জনতা ঢিল ছুড়ে ও ভেংচি কেটে হনুমানটিকে বিরক্ত করছে।
বনবিভাগ ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বন্য প্রাণীকে বিরক্ত না করলে নিজে থেকেই আবার বনে ফিরে যায়। এদের উদ্ধার করে খাঁচায় আটকে রাখা কোনো সমাধান নয়।
জানা গেছে. গত শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে কেওয়াবুনিয়া গ্রামের আবদুল সত্তার আকনের বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি উচু রেইন্ট্রি গাছে ওই বিড়ল প্রজাতির হনুমানটিকে সর্বপ্রথম দেখতে পাওয়া যায়। হনুমানটিকে সারাদিন ধরে ওই বাড়ীর বিভিন্ন গাছে ছুটাছুটি করছে করতে দেখা যায়। আজ রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ওই এলাকা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে মোশারফ আকনের বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি চাম্মল গাছে হনুমানকে দেখা গেছে। এভাবে একেক সময় একেকটি গাছে ছুটে বেড়াচ্ছে ওই বিড়ল প্রজাতির হনুমানটি।
আজ দুপুরে সরেজমিনে কেওয়াবুনিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লম্বায় ৩ ফুট উচ্চতার ওই হনুমানটি স্থানীয় মাহবুল হোসেনের বাড়ির বাগানের ২০০ ফুট উচ্চতার একটি রেইট্রি গাছের মগডালে বসে রয়েছে। উৎসুক মানুষের ভিড়, কৌতুহল বসতঃ ভেচিং কেটে ও ঢিল ছুড়ার কারণে হনুমানটি এক গাছ থেকে লাফিয়ে আরেক গাছে গিয়ে অবস্থান বদল করছে।
কেওয়াবুনিয়া গ্রামের হৃদয় হোসেন জানান, ‘সকাল থেকে একটি হনুমান আমাদের গ্রামের বিভিন্ন গাছের মগডালে অবস্থান করছে। ঘন্টায় ঘন্টায় সে তার অবস্থান পরিবর্তণ করছে। উৎসুখ জনতা হনুমানটিকে ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করছে। চেষ্টা করছি যেন হনুমানটিকে নিরাপদে রাখা যায়। বন বিভাগের উচিত হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেয়া।’
আমতলী উপজেলা বন বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বিরল প্রজাতির ওই হনুমানটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে এসেছে। স্থানীয়দের প্রতি অনুরোধ প্রানীটিকে যেন বিরক্ত করা না হয়। তাকে তার মতো থাকতে দিলে ভালো হবে। সে এনতিইে আবার বনে ফিরে যাবে।