বঙ্গবন্ধু ঢিলেঢালা পাজামায়, স্পোর্টস কেডস পরে বুকটান করে দাঁড়িয়ে আছেন ? এমন বঙ্গবন্ধুকে হয়তো বাঙ্গালী জাতি কখন দেখেনি ইতি পূর্বে। আর এর জন্য অবদান রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সরকার দলীয় সাংসদ এমএ লতিফ। জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন ছাপিয়েছে এই এমপি। সম্প্রতি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার কয়েকটি ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বির্তক-সমালোচনা। বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দাবি, এমএ লতিফ বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দেখানোর নামে ফটোশপের মাধ্যমে নিজের ছবির ওপর এডিট করে শুধু বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডলটি বসিয়ে দিয়েছেন। এটি বঙ্গবন্ধুর প্রতি চরম অপমান করার সামিল। কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিচারেরও দাবি করেছেন। তবে এমএ লতিফ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, হয়তো তার নির্বাচনীয় এলাকার কেউ এই ধরনের কাজ করতেও পারেন, আবার অভিযোগটি সত্য নাও হতে পারে। তবে যে ছবি বঙ্গবন্ধুর বলে ব্যানার ফেস্টুন ছাপিয়ে তোষামোদ করতে চেয়েছেন এমএ লতিফ, সেই ছবি নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। বিশেষ করে ছবিতে বঙ্গবন্ধুর দাঁড়ানোর স্টাইল, পরিহিত পাঞ্জাবি ও পাজামা এবং জুতা বির্তকের মাত্রাকে উসকে দিয়েছে। বিতর্কিত ছবিগুলো নগরীর বিশেষ করে বন্দর-পতেঙ্গা-ইপিজেড এলাকায় শোভা পাচ্ছে। এছাড়া তিনি সব সময় চামড়ার জুতা পরতেন আর ছবিতে ব্যবহৃত জুতায় দেখা যায়, তিনি ¯েপার্টস কেডস পরেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে বিতর্ক আর সমালোচনা। কামরুল হাসান বাদল নামে একজন সাংসদ লতিফের প্রকাশিত একটি ফেস্টুনের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, এ ছবিটি বঙ্গবন্ধুর বলে বিশ্বাস হচ্ছে না। পোশাক ও দাঁড়ানো এই ভঙ্গি বঙ্গবন্ধুর নয়। জাতির জনকের মর্যাদা রক্ষায় কেউ কি আছেন যিনি এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন? তার এই ছবিতে বাপ্পি সাহা লিখেছেন, ঠিক বলেছেন এটা বডির সাথে মাথা লাগিয়ে এডিট করেছে। সালাউদ্দিন সাকিব লিখিছেন, লতিফ এমপি আওয়ামী লীগের হতে পারলেন না! ধিক্কার। মহিউদ্দিন আজাদ সুমন লিখেছেন, ...বেয়াদবির একটি সীমা থাকা উচিত। সাবের শাহা লিখেছেন, অতিভক্তি দেখাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকেই তো অপমান করলেন! ফটোশপ যে এখন সবাই বুঝে এটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল।