সাগর পথে ইয়াবা পাচারের অন্যতম হোতা কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার মুফিজ সিন্ডিকেটের আরো ৭ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা পিস উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর একটি দল । জব্দ করা হয়েছে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার। এসময় সিন্ডিকেটের সেকেন্ড ইন গডফাদার আবদুর রশিদ সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন মিয়ানমারের নাগরিক। কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে বুধবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব বলছে, উদ্ধার করা ইয়াবার মূল্য ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। এরআগে ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে একই সিন্ডিকেটের আরো ১০ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছিল র্যাব সদস্যরা। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইয়াবা সিন্ডিকেট প্রধান মুফিজের ভাই কক্সবাজার কলাতলী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে আবদুর রশিদ (২৮), মিয়ানমারের মংডু সুতাহরা এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মোঃ জোবায়ের (৪২), উখিয়া উপজেলার উত্তর সোনারপাড়ার আব্দুল্লাহর ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম (১৮), একই এলাকার জহির আলমের ছেলে মোঃ আশেক উল্লাহ (১৯), পশ্চিম সোনাইছড়ির আলী আহম্মদের ছেলে সামসুল আলম (২৫), সোনাইছড়ির ফরিদ আলমের ছেলে মোঃ হাসান (২০), নজির আহমদের ছেলে মোঃ ইউনুছ (৫৫)। চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর পরিচালক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ জানান, সংঘবদ্ধ মাদকব্যবসায়ী চক্র দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান মাছ ধরার ট্রলারযোগে কক্সাবাজার ও চট্টগ্রামে নিয়ে আসছে। র্যাবের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণের’ একপর্যায়ে জানা যায়, মিয়ানমার হতে ‘এফভি মায়ের দোয়া’ নামক একটি মাছ ধরার ট্রলারযোগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান কক্সবাজারের দিকে আসছে। তিনি জানান, এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার সীমানায় গভীর সমুদ্রে ট্রলারটিকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ট্রলারটির কোল্ডস্টোরের ভেতরে রাখা সাত লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ছয়জনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা জানান এসব ইয়াবা মালিক কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার আবদুর রশিদ ও তার ভাই মুফিজ। কলাতলি পরে রশিদের দেওয়া তথ্যে, তার ভাই মোঃ মফিজের দক্ষিণ কলাতলীর বাসা থেকে আরও ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মফিজকে গ্রেফতার করা যায়নি। তিনি আরো জানান, মুফিজ সমুদ্র পথে ইয়াবা পাচারের অন্যতম হোতা। এর আগে ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে উদ্ধার হওয়া ১০ লাখ পিস ইয়াবা পাচার মামলার আসামী এই মুফিজ ও তার ভাই রশিদ। এ ঘটনায় মুফিজকে আটক করা চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও র্যাব জানায়।