এলাকার শিক্ষিত এক যুবক নতুন বাজার ৭১ ডট কম কে বলেন, বর্তমান যে অবস্থা তাতে চাকরি পাওয়া অনেক সমস্যা। আমি ড্রাগন বাগান করতে চাই। এজন্য বিল্লাল ও আনিছুর ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে আমি এখান থেকে চারা নিয়ে আমি ড্রাগন ফলের বাগান করবো।
ফল ব্যবসায়ী এক নতুন বাজার ৭১ ডট কম কে বলেন, বিল্লাল ও আনিছুর ভাইয়ের বাগান থেকে ড্রাগন নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতাম। কিন্তু দেশের যে পরিস্থিতি সেজন্য অন্য জেলায় গিয়ে ফল বিক্রি করে ফিরে আসা কষ্টকর। বর্তমানে ফোনে অর্ডার নিচ্ছি এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে ফল ডেলিভারি দিচ্ছি। প্রতি কেজি দরে ড্রাগন ফল ৩৫০ টাকায় কিনে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
চামীয়াদী গ্রামের এক জন বলেন, বিল্লাল ও আনিছুর ভাইয়ের বাগানে আমি প্রায় ৭ বছর ধরে কাজ করছি। করোনা মহামারিতে অন্য কোথাও কোনো কাজ নেই। এখানে কাজ করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখে আছি
জানাযায়, ড্রাগন একটি পুষ্টিকর ফল। এ ফলে রয়েছে অধিক পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ভালুকার বেশ কিছু জায়গায় এই ফলের চাষ হয়। অল্প খরচে অধিক লাভ হয় বলে অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ জেলাসহ আশপাশের উপজেলাতেও এই ফলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ফল চাষ করতে জৈব সার একটু বেশি লাগে। রাসায়নিক সার কম লাগে। তাই অধিক লাভ করা যায়। ড্রাগন ফলের দাম আকার ও আকৃতি ভেদে প্রতি কেজি ফল ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। আমরা হর্টিকালচারের পক্ষ থেকে ড্রাগন ফল চাষে চাষিদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায় , ভালুকা উপজেলার চামিয়াদী বাজার সংলগ্ন তাদের এই খামার । খামারের নাম এম কে এগ্রো ফার্ম এই ফার্মের ফল কীটনাশকমুক্ত কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করেন না বলে জানান বিল্লাল, তাদের ফার্ম থেকে ড্রাগন ফলের পাশাপাশি ড্রাগনের কাটিং চালাও বিক্রি করেন তারা।