বিরামপুরে সাথী ফসল আবাদ করে লাভবান কৃষক আব্দুল কাদের
7, November, 2023, 1:26:53:AM
ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় সাথী ফসলের চাষ ব্যাপক হারে বাড়ছে। বর্তমানে সাথী ফসলসহ দুই বা তারও বেশি ধরনের ফসল চাষ করা হচ্ছে ছোট যমুনা নদী বিধৌত বিরামপুরে।
মূলত কৃষি ও মৎস চাষ এ উপজেলার মানুষের প্রধান আয়ের উৎস। এখানকার কৃষকরা আগে ফসলি জমিতে শুধু ধান চাষ করতেন। তাতে খুব একটা লাভ হতো না তাদের। এখন তারা জমিতে চাষ করছেন সাথী ফসল। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে একই সঙ্গে একাধিক ফসল চাষ।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান, কৃষি খাতকে উন্নয়নমুখী ও লাভজনক করতে বিরামপুর উপজেলার জমিকে দুই ফসলি করার চেষ্টা চলছে। তারই ধারাবাহিকতা এই সাথী ফসল চাষ। সাথী ফসল হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে সবজি।
বিরামপুর উপজেলার পৌরশহরের ৬ নং ওয়ার্ডের হাবিবপুর রামপুরা গ্রামের মৃত কাছাব উদ্দিনের ছেলে কৃষক আব্দুল কাদের এ বছর সাথী ফসল হিসেবে করলার সাথে শসা,লাউ এবং ফুল কপির সাথে কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। তিনি জানান করলার সাথে শসা এবং করলা তোলা শেষ। এখন চলছে লাউয়ের পরিচর্যা। এ বছর প্রায় ১৩২ শতাংশ (৪ বিঘা) জমিতে সাথী ফসল চাষ করেছেন বলে তিনি জানান।
তিনি ২ বিঘা জমিতে করলার সাথে শসা,লাউ আবাদ করছেন।ইতি মধ্যে সে ৭০ হাজার টাকা করলা বিক্রয় করেছেন এবং আরো ৮০ হাজার টাকার বিক্রয় হবে বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও ১ বিঘায় ফুল কপির সাথে কাঁচা মরিচ এবং আর ১ বিঘায় ফুল কপির সাথে বাঁধা কপি চাষ করেছেন।
কৃষক আব্দুল কাদের জানান একই খরচে অল্প সময়ে দুই ফসল পাওয়ায় লাভবান তিনি। তিনি ৪ বিঘা জমি চাষে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয় বলে জানিয়েছেন।৪ বিঘা জমির ফসল বেশীরভাগ সময় জমিতে বিক্রয় হয় এবং মাঝে মধ্যে নিজে বাজারে বিক্রয় করে ৬ লক্ষ টাকার বেশি আয় হয়।পরপর একাধিক ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছেন জানিয়ে কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনকে শ্রম দিতে হয় বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ জানান, বিরামপুরে ফসলি জমিকে দুই ফসলি করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় বিরামপুর উপজেলায় ২৪ হেক্টর জমিতে সাথী ফসল আবাদ করা হয়েছে।তা ছাড়া সাথী ফসল চাষাবাদের প্রতি কৃষকদের আগ্রহও অনেক।সাথী ফসলে বাড়তি খরচ খুব একটা নেই বলে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।