ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় প্রতি বছরই চাষের আওতায় আসছে পতিত জমি। বোরো , আমন, আবাদ হচ্ছে এসব জমিতে।
ভালুকা উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ ত্রুমে উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে উপজেলায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকের একই সঙ্গে দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করছেন। এ ছাড়া যেসব জমি কখনও চাষ করা হয়নি, এসব জমিতে শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।
উপজেলার বনগাঁও, গ্রামের কৃষকেরা জানান, ফসল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। বিশেষ করে রবিশস্য ও বোরো ধান চাষ হচ্ছে। পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা ও সরকারি প্রণোদনা প্রদান করলে আরও পতিত জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব। এ ছাড়া এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করে সবজি ও বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করছেন বলে জানান তারা।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, আমারা বোর মৌসুম শেষে উপজেলার বনগাঁও গ্রামে কৃষকে দিয়ে এক হেক্টর জমিতে রোপা আমন, বি ধান ৭৫, বি ধান ৭২ , ধান চাষ করা হয়েছে । পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যেন কোন জমি পতিত না থাকে। এ ফসল উৎপাদনের পর আমরা একই জমিতে সরিষা চাষ শুরু করবো, তার পর আবার ধান চাষ করবো।
সরেজমিনে উপজেলার বনগাঁও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা সবজি ও বোরো ধানের প্রতি ঝুঁকছেন। তারা বিভিন্ন পতিত জমিতে সরিষা, আলু, শাকসবজি চাষ করছেন। এ ছাড়া বোরো ধানের বীজতলার জন্য পতিত জমি প্রস্তুত করছেন। কৃষিতে খরচ বাড়লেও সারা বছর সবজিতে ভাল দাম পাওয়া যায়। এ জন্য পতিত জমিসহ সব জমিতে চাষ বেড়েছে।
কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি আগে আমার জমিতে শুধু আমন ধান চাষ করতাম। আমন চাষ করে আমার পরিবারের খাদ্যের চাহিদায় ঘাটতি থাকতো। পরে একই জমিতে, আউশ, আমন ও বোরো ধান চাষ করছি। এখন পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে ধান বিক্রি করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে। পর্যাপ্ত সেচ থাকলে আরও পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে। কৃষকরা পতিত জমিতে সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। বর্তমান সময়ে কৃষকরা অতি সহজে এক ফসলি জমিতে দ্বি-ফসলি, তিন ফসলি ফসল উৎপাদন করছেন।
কৃষকদের সেচ ও প্রণোদনার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।