কাউনিয়ায় বিভিন্ন গ্রামে বোরো মৌসুমে চারিদিকে সবুজের সমারহ, যতোদুর দুচোখ যায় সবুজ আর সবুজ। কৃষকের মন ভরে যায় খেতে গেলে। দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন খেতে। সোনালী ধান গোলায় তুলতে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন আগামী দিনের জন্য। কাউনিায় উপজেলায় কৃষক প্রতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা সাজিয়ে রাখেন খেতেই তা প্রয়োগ করে ফসল ঘরে তুলে তৃপ্তির হাসি হাসেন।
সরেজমিনে উপজেলার বেতানির দোলা, উদাসির বিল, আটানীর দোলা, ধলের দোলা সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। কথা হয় নিজপাড়া গ্রামের কৃষক প্রহলাদ চন্দ্রের সাথে তিনি বলেন প্রায় ৫ একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি, আবাদের অবস্থা ভালো, তবে রাতে কুয়াশা আর দিনে গরমের কারেন কোন কোন জমিতে বøাষ্ট রোগ দেখা দিয়েছে। রাজিব গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন জানান এখন পর্যন্ত ক্ষেতের ধানের অবস্থা ভাল আছে, প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ। গদাই গ্রামের কৃষক গফুর আলী, আলামিনসহ আরো অনেকেই জানান পোকা মাকড় আপাতত নাই, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভালো থাকায় পানির সমস্যা নাই, আবাদের অবস্থা আলহামদুল্লিলাহ ভালো। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পোকা মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খেতে পাখি বসার জন্য পার্চিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান উপজেলায় হাইব্রীড ও উপশি জাতের ৭৫৯২ হেক্টর জমিতে বোরো রোপনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, তন্মধ্যে অর্জন হয়েছে ৭৬০৫ হেক্টর। আশা করছি ভাল ফলন হবে। মাঠের কোথাও কোথায় ১৪ ধানে বøাস্ট দেখা দিয়েছে সে জন্য কৃষকদের পোকামাকর ও রোগদমনে করনীয় লীফলেটসহ ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে পরিকল্পনা মাফিক কার্যক্রম চলছে। এখন পর্যন্ত তেমন রোগ বালাই নাই, খেত আগাছা মুক্ত ও পাখি বসার জন্য পার্চিং ব্যবস্থা করা এ ব্যপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আর কিছু দিনের মধ্যে কাটামারী শুরু হয়ে যাবে।