ভুট্টা যেন নয় সোনা ফলেছে। ভুট্টার সোনালী দানা যে কোন মানুষ কে কাছে টানে। বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। রংপুর জেলা কাউনিয়া উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে সোনালী ভুট্টা মারাই করতে কৃষক কৃষানী ব্যাস্ত সময় পার করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় ভুট্টা চাষিরা চলতি মৌসুমে ভাল ভাবে ভুট্টা গোলায় তুলতে পেরে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। কাউনিয়ায় অন্য এলার চেয়ে তিস্তার চরাঞ্চলের গুলোতে ভুট্টার ফলন বেশী হয়েছে। ফলন ও দাম পেয়ে চরের কৃষকরা আরও খুশি। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে ভুট্টার চাষ ছিল দেখার মতো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং উৎপাদন ভালো হওয়ায় কোউনিয়ায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি একরে ১২০-১৩০ মণ পর্যন্ত ভুট্টার ফলন হেেয়ছে। ভুট্টা চাষে প্রতি ১একরে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর একর প্রতি বর্তমান বাজার অনুযায়ী ভুট্টা বিক্রি হবে ১লক্ষ ৩৮হাজার থেকে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত। উপজেলার সারাই গ্রামের ভুট্টা চাষি মফিজুল জানান তিনি ৫০শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে তার খরচ হয়েছে সবমিলে প্রায় ৯হাজার টাকা। যে ফলন হয়েছে তাতে এখন বিক্রি করলে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। প্রাণনাথ চরের চাষি মনজুর রহমান জানান, ১একর ৫০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করায় গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশী ফলন হয়েছে। এবার ভুট্টার চাহিদা বেশী থাকায় ভুট্টা সোনায় পরিনত হয়েছে। ভুট্টাচাষিরা জানান, ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে খরচ অনেক কম। ভুট্টা চাষে ফলন ও লাভ বেশি। তা ছাড়া সার ও বালাইনাশক ওষুধ খুব একটা দেওয়া লাগে না, সেচের খরচও কম। ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা আছে। কারণ ভুট্টা পোলট্রি এবং ফিশ ফুডে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, রবি মৌসুমে উপজেলায় ভুট্টা চাষের ৭৮৮ হেক্টর লক্ষ্য মাত্র থাকলেও অর্জন হয়েছে ৯৫০ হেক্টর জমিতে। আশা করছেন উপজেলায় ৮৮২২ মেঃটন ভুট্টা উৎপাদন হবে। আবহাওয়া অনুকূলে ও ভুট্টা চাষে ফলন ভালো হওয়ায় প্রচুর লাভবান হবে কৃষক।