তিস্তা নদীর ধু-ধু বালু চরে সবুজের সমারোহ। দীগন্ত জুরে শুধু সবুজ আর সবুজ। বালূ চরে এখন সোনা ফলে। এ আর মালিক সীড কোঃ লিঃ ঢাকা এর আমদানীকৃত এগ্রিকো নেদারল্যান্ড এর এ্যালুয়েট গ্রাম বাংলার ভায়ায় নো স্প্রে, নো টেনশন বীজ আলু উৎপাদনে বাম্পার ফলের স্বপ্ন চাষি তাজরুল ইসলামের।
সরেজমিনে কাউনিয়া পীরগাছা রাজারহাট উলিপুর উপজেলার সীমান্ত তিস্তা নদীর ধু-ধু বালূ চরে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক তাজরুল ইসলাম প্রায় ৩০একর জমিতে এ্যালুয়েট বীজ আলু চাষ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে আলু ক্ষেতের যে অবস্থা তাতে সে বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তার চোখে মুখে এখন শুধু সোনালী স্বপ্ন। কিছু দিনের মধ্যেই সেই এ্যালুয়েট সোনালী বীজ ঘরে তুলবে। তাজরুল ইসলাম জানান আমদানীকারক এ আর মালিক সীড কোঃলিঃ ঢাকা এর প্রতিনিধি মোঃ আব্দুর রহমান এর সহযোগিতায় এবং তাদের সার্বিক তত্বাবধানে এ্যালুয়েট বীজ আলু চাষ করেন তিনি। গত বছর মাত্র ১ একর জমিতে এই বীজ আলু করে ফলন ও লাভবান হওয়ায় চলতি বছর ৩০ একর জমিতে বীজ আলু চাষ করে বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তিনি আরও জানান প্রতি একর জমিতে বীজ আলু উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১লাখ টাকা। তার একরে প্রায় ৮টন ফলন আশা করছেন যার বিক্রয় মূল্য প্রায় ১ লাখ ৬০হাজার টাকা। এগ্রিকো নেদারল্যান্ড এর প্রতিনিধি মোঃ আঃ রহমান এর কাছে এ্যালুয়েট বীজ আলু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ্যালুয়েট বীজ আলু কে গ্রামের চাষিরা নো স্প্রে, নো টেনশন নামে চেনেন, কারন এই আলু চাষ করলে কোন স্প্রে করতে হয় না, ৪০ ভাগ ইউরিয়া সার কম লাগে, হরমন ব্যবহার করতে হয় না, রোগ বালাই নেই বললেই চলে, যে কোন মাটিতেই এই আলু চাষ করা যায়, অন্য যেকোন জাতের আলুর চেয়ে বেশী ফলন হয়। তিস্তার চরের বাসিন্দা আনারুল, কাইয়ুম জানান, তাজরুল ইসলাম তিস্তার চরে আলু চাষ করে শুধু সবুজের সমারোহই ঘটান নাই তিনি শতশত মানুষের কর্মসংস্থনের সৃষ্টি করেছেন। নো স্প্রে নো টেনশন এ্যালুয়েট বীজ কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক সমাদৃত হবে। তিস্তার চরে তাজরুল ইসলাম একজন সফল উদ্যোগতা আলু চাষি।