নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ৯ নং টেপাখরিবাড়ী ইউনিয়নে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।ভুট্রার ভালো দামও পাচ্ছেন চাষীরা।ফলে তাদের মুখে ফুটেছে হাসি।নীলফামারীর চরাঞ্চল গুলোতে ভুট্টার ফলন অন্য এলাকার চেয়ে বেশী।ফলে চরের কৃষকরা আরও খুশি। গত কয়েক দিন ধরে টেপাখরিবাড়ী এলাকায় মাঠে মাঠে ভুট্টা নিয়ে চাষীদের ব্যস্ততা চলছে। চলতি মৌসুমে ভুট্টার চাষ ছিল দেখার মতো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং উৎপাদন ভালো হওয়ায় টেপাখরিবাড়ী ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি একরে (১১০ -১২০) মণ ভুট্টার ফলন হবে এবং হয়েছে বলে জানান চাষিরা। ভুট্টা চাষে প্রতি ১একরে খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
আর একর প্রতি ভুট্টা বিক্রি হবে ১ লক্ষ ৩৮হাজার থেকে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকারও বেশি। নীলফামারী জেলা ডিমলা উপজেলার উত্তর খরিবাড়ী এলাকার সফল ভুট্টাচাষি মোঃ আমিনার রহমান ১ একর ৭০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে এক লাখ টাকার বেশি ভুট্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর আমিনার রহমানের মতো অনেক কৃষকই ডিমলায় ভুট্টা চাষে ফলন ভালো হওয়ায় প্রচুর লাভবান হয়েছেন। টেপাখরিবাড়ী ইউনিয়নের অপর এক সফল ভুট্টা চাষী কাসেম জানান এবার আমি ৩ একর ভুট্টা চাষ করেছি, ফলন অনেক ভালো হয়েছে প্রতি একরে ভুট্টা হয়েছে ১২০ মণ। এবং খরচো হয়েছে অনেক কম। ভুট্টাচাষিরা জানান, ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে খরচ অনেক কম। ভুট্টা চাষে ফলন ও লাভ বেশি। তা ছাড়া সার ও বালাইনাশক ওষুধ খুব একটা বেশি দেওয়া লাগে না। সেচের খরচও খুবই কম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে একবার সেচ দিলেই চলে। ভুট্টা চাষে সফলতা দেখে এখন অনেক কৃষকই ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এদিকে অনেকে জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ডিমলা উপজেলায় ভুট্টাচাষিরা সফলতা পেয়েছেন। ফলে ভুট্টা চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা আছে। কারণ, ভুট্টা পোলট্রি এবং ফিশ ফুডে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে।