ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হাতীবেড় গ্রামে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ২ একর জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন পাঁচ উদ্যোক্তা। বর্তমানে কীটনাশক, বিষ ও সারের দাম ঊর্ধ্বগতি এবং পেঁপের বাজার মূল্য হ্রাসের কারণে পেঁপে চাষে লাভের চেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন ওইসব চাষিরা।
আজ সোমবার সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের হাতীবেড় গ্রামে বাৎসরিক ৫০ হাজার টাকা ভাড়ায় প্রায় ২ একর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের কাশেমপুরী পেঁপে চাষ করেন উদ্যোক্তা রশিদ, বাচ্চু, ছাত্তার, ইদ্রিস ও দুলাল মিয়া। গাছ রোপনের দীর্ঘ ৮ মাস পর পেঁপের ফলন দিতে শুরু করে। এতে ওই চাষিদের কীটনাশক, সার, বিষ, গোবর ক্রয় ও শ্রমিক খরচসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। বর্তমানে বাগানে ২ হাজার পেঁপেগাছে প্রচুর ফলন হয়েছে।
চাষি ছাত্তার জানান, ডিলারদের কৃত্রিম সংকটের কারণে সার ও কীটনাশক উচ্চমূল্যে ক্রয় করতে হয়েছে তাদের। এজন্য খরচও বেশি হয়। আগে দুই হাজার টাকা মণ দরে পেঁপে বিক্রি হতো। বর্তমানে বাজার মন্দার কারণে ৬শত টাকা মণে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে এবার লাভের চেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন তারা। তবে তাদের ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে সেটি তারা জানেন না। কৃষি কর্মকর্তা যদি নিয়মিত বাগানের খোঁজ খবর নিতেন তাহলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরামর্শ নিতে পারতেন তারা।
পাইকারী ক্রেতা মানিক মিয়া জানান, বর্তমানে পেঁপের বাজার খুবই মন্দা। বাজার অনুপাতে পেঁপে কিনছেন তারা। এতে চাষিরা লোকসানে পড়লেও তাদের কিছু করার নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, টিএসপি সার ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার কথা। এর চেয়ে বেশি দরে সার কিনেছেন কোনো চাষি, যদি ক্রয়ের রশিদ নিয়ে আসেন সেক্ষেত্রে ওই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।