আবু ইউসুফ নিজস্ব প্রতিনিধি শীতের সুস্বাদু ফল বরই (কুল)। দেশে এখন টক-মিস্টি, দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হয়ে থাকে। এ বরই চাষ করে এক মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় সম্বাব বলেন ভালুকার দুই ভাই মোঃ আব্দুল সামাদ ও মোঃ আবু সাঈদ। ভালুকা উপজেলার ৮ নং ডাকাতিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী পশ্চিমপাড়া মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে মোঃ আব্দুল সামাদ ও মোঃ আবু সাঈদ নিজে কিছু করার প্রত্যাশায় ৪০ শতাংশ জমিতে শুরু করেন বরই চাষ। শুরুতেই তিনি আয় করেন ১ লক্ষ টাকা। এরপর থেকে প্রতি বছরই তিনি বাড়াতে থাকেন বরই চাষ। বর্তমানে ৪.৫ বিঘা জমিতে চাষ করছেন। এতে খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে বরইয়ের বাম্পার ফলন হওয়ায় আশা দুই ভাই এর । এ বছর যে ফলন হয়েছে তাতে ১১-১২ লাখ টাকার বরই বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদী। এ বছর তিনি ভারতীয়, কাশ্মিরি, নারিকেল, আপেল, বাউ ও থাই কুলের চাষ করেছেন। বরই পাকা শুরু করলে বাগান থেকেই পাইকারি দরে মন হিসেবে ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করেন। যা জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হচ্ছে। তার দেখাদেখি এ অঞ্চলের অনেকে এখন বরই চাষ শুরু করেছেন। এ অঞ্চলে এখন ১০০ বিঘার উপর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে।তিনারা কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই বরই চাষ করেছেন। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছা শক্তির ওপর ভিত্তি করে বরই চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। এমনকি ভালুকার সফল বরই চাষি দুই ভাই মোঃ আব্দুল সামাদ ও আবু সাঈদ জানান, ২০১৯ সালে ৪০ শতাংশ জমিতে বরই চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই লাভ হয় ১ লক্ষ টাকা। পরে তিনারা প্রতিবছর চাষ বাড়াতে থাকেন এবং লাভবান হন। এ বছর ৪.৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। ফলন অনুযায়ী বিক্রি করবেন প্রায় ১১- ১২ লাখ টাকা হতে পারে। আব্দুস সামাদ জানান, আমরা প্রতিবছরই বরই এর চারা বিক্রি করি আমাদের বরই এর চারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় এবং আমাদের কাছ থেকে চারা ক্রয় করে চাষিরা অনেক খুশি কারণ আমরা ছলচাতুরী করিনা আমরা নিজেরাই অলপ করি এতে চারার কোনো সমস্যা হয় না গেলো বছর ৫০০০ চারা বিক্রি করেছি কারো ইচ্ছে হলে যোগাযোগ করতে পারে ০১৭৬০৪৫৩৪০০, ০১৮৭০৩৯৮১৩৬। ভালুকা উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন জাহান জানান, এখন বরই গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে অনেক গাছে ফুল চলে এসেছে প্রকৃতির দুর্ভোগ যদি না আসে তাহলে মাসুদের বাগানে ভালো ফলন আশা করছি আমি ওনাদের খোঁজখবর নিচ্ছি এবং আমার উপসহকারী উনাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, বরই গাছে আশা ফুল যেন ঝরে না যায় সেজন্য আমি তাদের কে কীটনাশক দিয়েছি, নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি এবং গেল বছর সামাদ ও আবু সাঈদ দুই ভাই ৫০০০ চারা বিক্রি করেছে এতে আশেপাশের কৃষকরা বরই চাষে আরো উদ্বোধন হয়েছে।
তিনারা জানান, বাগান পরিচর্যার জন্য মোট ৯ জন কাজ করেন। এ বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাবেন। আগামীতে তিনি আরো বরইয়ের চাষ করবেন। তবে বরই চাষ করতে কম সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য তিনারা সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।