লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিসার। স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় অল্প পুঁজিতে ভুট্টা চাষ করে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভুট্টা চাষীরা। ভুট্টার ক্ষেতে লকলকে সবুজ পাতার ফাঁকে আসতে শুরু করেছে ফুল ও ভুট্টার মোচা। এই দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
ভুট্টা মানুষের জন্য পুষ্টিকর তেমনি পোল্ট্রি ও মাছের খাবারসহ বিভিন্ন খাবারে যুক্ত হওয়ায় ব্যাপকহারে চাহিদা বেড়েছে।
শুধু ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল কৃষি জমিতে ভুট্টা চাষ এনে দিয়েছে নতুন গতি। আবার ভুট্টা আবাদের সাথে সাথী ফসল চাষেও বাড়তি অর্থ পাচ্ছেন চাষীরা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায় , ভুট্টার চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনে সম্ভাবনা রয়েছে। এই মৌসুমে ৩ হাজার ৪ শত ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্য মাত্র থাকলেও চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে এন এইচ ৭৭২০, সুপার স্টার ৯২৫৫,কাবেরি ৩৩৫৫, ডন ৫৫৩৩ সহ অন্যান্য জাতের ভুট্টা।
উপজেলা প্রতান্ত অঞ্চলে বেশ কয়েক জন কৃষক জানান প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সেচ, সার ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৪০ থেকে ৪৫ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এতে অল্প পুঁজিতে প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা ও পৌর এলাকাসহ প্রায় সব জায়গায় কৃষকের বিস্তির্ণ ফসলের মাঠ এখন ভুট্টার সবুজ ক্ষেতে ভরে গেছে। পৌর এলাকার বাজেবামদাহ মাঠ ও মুরুটিয়া গ্রামে দেখা যায় গাছগুলো বেশ বড়ও হয়ে ওঠেছে। মোচা ধরাও শুরু হয়েছে। এখন ভুট্টা ক্ষেতগুলোর পরিচর্যা ও নিড়ানী এবং সেচ সহ নানা কাজে ব্যস্ত চাষীরা। অনেক এলাকায় গাছগুলো হাঁটু সমান আর কিছু এলাকায় আগাম ভুট্টা রোপণ করায় গাছ মানুষের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং কোথাও কোথাও গাছে মোচা এসেছে। এসব ফলন আগাম ঘরে তোলা যাবে।