কাউনিয়ার তিস্তা নদী বেষ্ঠিত ২২টি চর এখন মরিচ ক্ষেতে সবুজে ঘেরা মরিচের সমারোহ। চারিদিকে জমি গুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের কাঁচা পাকা মরিচ। বিগত বছরের মতো এবারও মরিচ চাষ করে কৃষকেরা ভালো দাম পেয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে কাউনিয়ার মরিচ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায়। এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। কৃষি বিভাগ জানায় গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪০০ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ৪২০ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ মরিচ ক্ষেতই হলো তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে।
সরেজমিনে তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে চর নাজিরদহ, পল্লীমারী, চর চতুরা, প্রাণনাথ চর, আরাজী হরিশ^র, চর সাব্দী, গোপিডাঙ্গা চর, চর পাঞ্জরভাঙ্গা, চর গদাই, চর ঢুষমারা, পূর্ব নিজপাড়া, চরগনাই, চর হয়বতখাঁ, বিশ^নাথ চর, চর আজমখাঁ, চর রাজীবসহ তিস্তা নদীর কোল ঘেষা গ্রাম গুলোতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিস্তার চরে পলি ও উর্বর দোআঁশ মাটিতে ফলন ভালো ও অধিক দাম পাওয়ায় চাষীরা বেজায় খুশী। ঢুসমারা চরের কৃষক কোব্বাত আলী জানান, তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর থেকে শুরু করে রাজধানীতে রফতানি হয়। উপজেলার খানসামা হাট, টেপামধুপুর হাট এবং তপিকল হাট ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি দেদারছে কেনাবেচা হচ্ছে মরিচ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সার্বক্ষনিক ট্যাকনিক্যাল পরামর্শ দেয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দামও ভাল পাচ্ছে। এ ছাড়াও তিস্তার জেগে ওঠা চরের জমিতে প্রচুর পলি পড়ায় এলাকার মাটির প্রকৃতি ও আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য উপযোগী।