সোমবার এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে মেসার্স ঘটক পাখি ভাই (প্রা.) লিমিটেড এবং এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশরাফ হোসেন ও ডিরেক্টর সুলতানা বেগমের (বেবি) সব ধরনের আমানত, বিনিয়োগ ও ভল্টে থাকা সম্পদ সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে ঘটক পাখি ভাইয়ের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির ঘটনায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, নুরন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, সেলিম প্রধান, জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রী সায়েমা আফরোজের ব্যাংক হিসাবও তলব করে এনবিআর। এছাড়া নজরুল ইসলাম বাবুর মালিকানাধীন চারটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর যুবলীগের চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সব ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (লেনদেন স্থগিত) করে এনবিআর। এছাড়া ২১ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, তার স্ত্রী পারভীন লুনা, মেয়ে নুজহাত নাদিয়া নিলা এবং তাদের প্রতিষ্ঠান ফাইন পাওয়ার সল্যুয়েশন লিমিটেড; স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ সম্পাদক কে এম মাসুদুর রহমান, তার স্ত্রী লুতফুর নাহার লুনা, বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান এবং তাদের প্রতিষ্ঠান সেবা গ্রীন লাইন লিমিটেড; যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, তার স্ত্রী সুমি রহমান, তার প্রতিষ্ঠান মা ফিলিং স্টেশন ও আরেফিন এন্টারপ্রাইজের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
এছাড়া ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফের। তিনি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছোট ভাই। চিঠিতে মারুফ, তার স্ত্রী সানজিদা রহমান, তাদের দুইটি প্রতিষ্ঠান টি-টোয়েন্টিফোর গেমিং কোম্পানি লিমিটেড ও টি-টোয়েন্টিফোর ল ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন ও ব্যাংক হিসাব স্থানান্তর করতে পারবেন না।