বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তদন্তে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এ পর্যন্ত ৪ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করার তথ্য পেয়েছে। এই ৪ কোটি টাকা থাইল্যান্ডের ক্যাশিকর্ণ ব্যাংকে পাপিয়ার নামের একাউন্টে জমা আছে। এছাড়া আরো টাকা পাচার করেছেন কি না—সে বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে।
এর পাশাপাশি পাপিয়ার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তার ব্যাংকের হিসাব নথিতে কত টাকা জমা আছে—এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে রাষ্ট্রের তপশিলি ব্যাংকের সকল শাখায়।
অপরদিকে, পাপিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকার পৃথক তিন মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চার জন ১৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি ও সাতটি মোবাইল ফোনসহ র্যা ব পাপিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পর দিন গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনের প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট এবং ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার দুটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট ও কিছু বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে র্যাটব। এসব ঘটনায় র্যা ব পাপিয়ার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি ও শেরেবাংলা নগর থানায় দুইটি মামলা দায়ের করে।