রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মধুবাগ মসজিদের পাশে এক বাড়িতে গৃহকর্মীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শিকদার মেডিকেলে কর্মরত শম্পা নামে এক ডাক্তার এবং তার স্বামী শামীম মিলে পিংকি নামে এক গৃহকর্মীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সোমবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নির্যাতনের শিকার এ গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেন রুমানা আহমেদ নামে পাশের বাসার এক গৃহবধূ।
রুমানা আহমেদ একটি অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নিচে কাজে গিয়েছিলাম। সে সময় দেখি শামীম সাহেবের বাড়িতে কাজ করা মেয়েটি বিবস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি কোনো ভুলের কারণে মেয়েটাকে মেরে এভাবে বিবস্ত্র করে বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে মেয়েটিকে বাড়িতে এনে আশ্রয় দিয়েছি।’ এ ব্যাপারে গৃহকর্মী পিংকি বলেন, ‘পান থেকে চুন খসলেই আমাকে ধরে মারে। মারার জন্য আলাদা বেত রাখা আছে বাসায়। আজ আমাকে মেরে বেত ভেঙে ফেলেছে। তারপর বিবস্ত্র করে বাড়ির বাহির করে দেয়। সবসময় মারধর করেন মামি (গৃহকর্ত্রী শম্পা) এবং যা ইচ্ছে তাই বলে গালাগালি করেন।’ এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের মানুষজন এসে ওই দম্পতির বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে বাসা থেকে বের করে তাদেরকে মারধর করার চেষ্টা করলে হাজারীবাগ থানা পুলিশ এসে গৃহকর্তা শামীম ও গৃহকর্ত্রী শম্পাকে থানায় নিয়ে যান। হাজারীবাগ থানা পুলিশের এসআই শওকত হোসেন সেই গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘ওই গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্তাকে বাড়ির পাশের লোকজন মারধর করতে যাচ্ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের হাত থেকে গৃহকর্ত্রীকে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। তবে এখনো তাকে আটক দেখানো হয়নি।’