দুপুর গড়িয়ে বিকেল। আহসান মঞ্জিলের বন্ধ থাকা প্রধান ফটকে দাড়িয়ে ছিলাম। একজন ভদ্রমহিলা বারবার গেটের দায়ীত্ব রত আনসার কে কি বলে বিরক্ত করছেন? আমি ভাবলাম ভিতরে যাওয়ার জন্য হয়তোবা অনুরোধ করছেন। কৌতুহল নিয়ে সামনে এগিয়ে প্রশ্ন করলাম। আমার প্রশ্নের উত্তর টা তিনি আমাকে যেভাবে দিয়েছেন। আজ আপনাদের কাছে তাই তুলে ধরলাম। আমি আজ কয়েক মাস ধরে বার বার এখানে আসি। এখানে চাকরি করতো প্রসেনজিৎ প্রায় দেড় বছর পূর্বে ফোনে আলাপের পরিচয়। তারপর প্রতিদিন কথা হতো আমাদের। একসময় আমরা বুঝতে পারলাম দুজন দুজনকে ভালো বেসেছি। ভালোবাসা আর সপ্ন নিয়ে ভালোই কাটছিলো আমাদের সময়। মাঝে মাঝে তার ডাকে এখানে আসতাম আনন্দ ময় সময় কাটাতাম। ভালোবাসার আবেগে কেটে যেতো অনেকটা সময়। গত ৩ মাস আগে আমি যখন প্রসেনজিৎ কে বিয়ের কথা বলি সে তখন আমাকে শারিরীক চাহিদা পূরনের প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার সাথে আমার মনমালিন্য হয়। কিছুদিন পর সে আমাকে বলে আমার বয়স তার থেকে বেশি। তাই সে আমাকে বিয়ে করতে পারবেনা। তার পরিবার আমাকে মেনে নিবে না। এর পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি ফোন করে তাকে আর পাচ্ছি না। এখানে আহসান মঞ্জিলে তার সহকর্মী দের কাছেও তার কোন খোঁজ পাচ্ছি না। বার বার ফিরে যাই কষ্ট বুকে নিয়ে। আমি তাকে আজও ভালোবাসি ততখানিই যতখানি আগে বাসতাম। কিন্তু সে আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। ভালোবাসার নামে প্রতারণা করেছে। কি দোষ আমার? আমার বয়স তার থেকে একটু বেশি। তো সেটা আগেই কেনো বল্লোনা। কেনো সে আমাকে সপ্ন দেখালো? আমি কার কাছে আমার কষ্টের কথা বলবো। আমার বাবা মা কেও দুনিয়ায় নেই। আমি এক অসহায় এই জগতে। কান্না ভেজা দুটি চোখ দিয়ে ঝর্ণার মতো পানি পড়তে পড়তে দুটি গাল ভিজে মাটিতে গড়িয়ে পরলো সপ্না শাহার চোখের পানি। আর কাঁদো কাঁদো স্বরে বল্ল আমি আজও প্রসেনজিৎ কে ভালো বাসি।