নেই ঘরে চাল, নেই কোন ডাল; দুঃখের জীবন নিয়ে, কোথায় চলবো বল। পুত্র,কন্যা ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করে চলে; অভাব থাকলে দুঃখ আসে এটা সবাই জানে। একদিকে সমাজ হাসে মোদের দুরাশে দেখে; বিপদ আসে বারে বারে বিধাতা রক্ষা করো মোরে । ছয়দিন ধরে অনাহারী, স্ত্রী, সন্তানেরে নিয়ে; রান্নাঘরে শুকনো থালা দেখে দুচোখে পানি গড়ে। অভাবীরে তুই কেন এলি আমার ঘরে; তোর কারনে সবার পেটে আগুন যে জ্বলে । অবশেষে একদিন বাহির হলাম সবাই মিলে; বড় বাবুদের কাছে হাত পাতলে শালা বলে ডাকে। দিন শেষে জুটলো একমুটো খাবার; এভাবেতেই দিন চলে যায়। আবার এসে আঘাত হানলো নিঃস্ব করে দিল বুক; নিমিসেই হারিয়ে গেলাে কুড়ে ঘরের সব সুখ। পুত্র, কন্যা মরে পড়ে রইল ঘরের দাওয়ায়; পাড়া প্রতিবেশি বলে উঠলো হায় হায়। অভাব থাকলে সংসারেতে এ রকমেই হয়; দুঃখ বেদনায় চারিদিকে বিষাক্ত শ্বাস বয়। মনের মাঝেতে জাগল চেতনা, পাল তুললো শক্তি; খোদার দরবারে দু’হাত তুলে করি আমি ভক্তি। আসেনা যেন কারো কুড়ে ঘরেতে এই অভাবী; সবার মাঝেতে ঝলমলিয়ে উঠুক নতুন দিনের রবি। এই আর্শীবাদ করি আমি বিশ্ববাসীকে; ধন্য হবে নতুন জীবন, ফুটবে হাসি অবশেষে। এইতো চাওয়া, এইতো পাওয়া সবার তরে; অভাব আছে বলেই সুন্দর জীবন হবে।